অষ্টম শতকে খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক নির্মিত দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদকে বলা হয় “সিরিয়ার হৃদয়”। খোলা চত্বর, পাথরের দেয়াল ও সোনালি মোজাইকের এই স্থাপনা শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং সিরিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতীক।
আসাদ শাসনে জরাজীর্ণ অবস্থা
জালিম আসাদ শাসনের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় এ ঐতিহাসিক মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। শৌচাগারে দুর্গন্ধ, নোংরা কার্পেট ও অব্যবস্থাপনার কারণে নামাজের অনুপযুক্ত হয়ে যায় উমাইয়া মসজিদ। এতে স্থানীয়দের মাঝে দীর্ঘদিন ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করে।

সংস্কারে নতুন উদ্যোগ
আসাদ শাসনের পতনের পর উদ্যোগ নেন সাদেদ্দীন মুভাকিত। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংস্কার কাজ রমজান শুরুর আগেই সম্পন্ন হয়। প্রায় ৩ লাখ ডলার ব্যয়ে পরিচালিত এ সংস্কারে—
বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা নবায়ন,
নতুন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন,
শৌচাগার সংস্কার ও অজুখানা ঠিক করা,
লাল উলের নতুন কার্পেট বিছানো,
নিরাপত্তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ—
সবই নিশ্চিত করা হয়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“এই সংস্কার শুধু অবকাঠামোর পরিবর্তন নয়, আমাদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয়কে আবারো ফিরিয়ে দিয়েছে।”
প্রায় ১৩ শতাব্দী পুরোনো এই উমাইয়া মসজিদ নতুন রূপে সিরিয়ার মুসলমানদের কাছে আবারো আধ্যাত্মিক শক্তি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠছে।







