বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, অফিশিয়ালি যাকাত আদায় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশে বিপুল পরিমাণ যাকাত আদায় হয়, তা বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হলে হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, “একজন যুবককে যদি যাকাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় এবং সেই টাকায় ১০টি বাদামের কার্ট চালু করা হয়, তবে প্রতিটি কার্টে অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিটি কার্টে ২০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন ৭০০–৮০০ টাকা আয় সম্ভব। ফলে মাস শেষে শুধু একজন পরিচালকেরই আয় হবে ৯০ হাজার টাকা। এভাবে যাকাতের টাকা দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।”
ডা. তাহের আরও বলেন, ইসলামি অর্থনীতি ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো যাকাত। যাকাত ভিক্ষা নয়, বরং টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির শক্তিশালী মাধ্যম। কিন্তু দুঃখজনক হলো, অনেকে যাকাত ব্যবস্থার সঠিক প্রয়োগ না বুঝে এটিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। তিনি বলেন, “আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব, কারও কাছে হাত পাতব না। যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি সেই পথই দেখিয়েছে।”
তিনি সমালোচনা করে বলেন, অতীতে দারিদ্র্য বিমোচনে কোনো কার্যকর পথ কেউ দেখাতে পারেনি। সুদভিত্তিক ঋণের মাধ্যমে কখনো টেকসই কর্মসংস্থান গড়ে তোলা যায় না। অথচ ইসলামের নির্ধারিত পথ—যাকাতই প্রকৃত সমাধান।