ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট ছাপানো ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, যৌক্তিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রার্থীরা চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডাকসুর জন্য মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন, ব্যবহৃত হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট। অব্যবহৃত ৬০ হাজার ৩১৮টি ব্যালটও সংরক্ষিত আছে।
নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, সেখানে কেবল প্রাথমিক ছাপানো ও কাটিংয়ের কাজ হয়েছে। মূল সুরক্ষা প্রক্রিয়া—প্রি-স্ক্যান, সিলগালা ও স্বাক্ষর—ভেন্ডরের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে। “এ ধরনের জটিল প্রক্রিয়া নীলক্ষেতের কোনো দোকানে সম্ভব নয়,”—বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, আইসিটি পরিচালকসহ নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ব্যালট ছাপানো ও নিরাপত্তার পুরো প্রক্রিয়া পাঁচ থেকে ছয় ধাপে সম্পন্ন হয়েছে এবং তা ছিল স্বচ্ছ ও নিরাপদ।