দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থিত হন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তাঁকে কাঠগড়ায় উঠানো হলে আবেগে ভেঙে পড়েন স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপি এবং বোন। হ্যাপি কান্নায় ভেঙে পড়েন, আর বোন ভাইয়ের হাতে চুমু খান। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এর আগে দুর্জয়কে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে আনা হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর তার নিরাপত্তা সরঞ্জাম খুলে ফেলা হয় এবং তিনি আসামিদের বেঞ্চে বসেন।
সেদিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। শুনানিকালে দুর্জয়ের আইনজীবী তার সঙ্গে একান্তে কথা বলার অনুমতি চাইলে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তা মঞ্জুর করেন।
২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাত দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, দুর্জয় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে দুর্জয়কে ফের হাজতখানায় নেওয়া হয়। পরে প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় তিনি হাত নেড়ে স্ত্রী ও বোনকে বিদায় জানান। গত ৩ জুলাই রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।