পার্বত্য চট্টগ্রামে টানা কারফিউ-পরবর্তী পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখন ভারতের মিডিয়ায় নতুন দাবি ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। লাদাখের অস্থিরতার হোতা হিসেবে চিহ্নিত সোনম ওয়াংচুকের সঙ্গে বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ পেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে—লাদাখের অস্থিরতার পেছনে বাংলাদেশের হাত রয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে। কারণ, সম্প্রতি ত্রিপুরার রাজা বিক্রমাদিত্যও প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে তাঁরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান।
এদিকে পার্বত্য অঞ্চলে সক্রিয় জেএসএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে নতুন করে বড় আকারে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক চালানে মর্টার শেল এসেছে ভারতের পুনের খাদকি অ্যামুনিশন ফ্যাক্টরি থেকে, যা চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ২,৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর আগে একই উৎস থেকে বুলেট সরবরাহ করা হয়েছিল।
প্রেক্ষিত ও ঘটনাবলীর আলোকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ে কী ঘটতে যাচ্ছে তার প্রাথমিক সংকেত পাওয়া যাচ্ছে—অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি বাইরের প্রভাবও ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।