শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও পাকিস্তানকে হেয় করার চেষ্টা করেছে ভারত। হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যাওয়া, সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের নাম না নেওয়া—ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের এসব আচরণ তার স্পষ্ট উদাহরণ। পাকিস্তান সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেও কিংবা আইসিসিতে অভিযোগ জানিয়েও লাভবান হয়নি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালেই ভারতের এই অবহেলার জবাব দেওয়ার সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানের সামনে। একই সঙ্গে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগও হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। তাছাড়া ৪১ বছর পর মহাদেশীয় ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব কাড়ারও বিরল সুযোগ ছিল সালমান আগাদের দলের সামনে।
কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। উল্টো ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখে ভারত। মাত্র ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে সূর্যকুমার যাদবের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। কিন্তু তিলক ভার্মার বীরত্বে দল ঘুরে দাঁড়ায়। তিনি অপরাজিত ৬৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৩ চার ও ৪ ছক্কা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শিবম দুবে (৩৩) ও সঞ্জু স্যামসন (২৪)।
অন্যদিকে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (৫৭) ও ফখর জামান (৪৬) জুটিতে ৮৪ রান তোলেন। পাওয়ার প্লের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ জমে উঠবে। কিন্তু এরপর ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৩৩ রানের মধ্যে ৯ উইকেট হারিয়ে দল থেমে যায় ১৪৬ রানে। ভারতের স্পিন আক্রমণে অসহায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান।
কুলদীপ যাদব একাই নেন ৪ উইকেট (৩০ রানে), আর বুমরাহ, অক্ষর ও বরুণ চক্রবর্তী ভাগাভাগি করে নেন বাকি ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৪৬/১০, ১৯.১ ওভার (ফারহান ৫৭, ফখর ৪৬; কুলদীপ ৪/৩০)
ভারত: ১৫০/৫, ১৯.৪ ওভার (তিলক ৬৯*, দুবে ৩৩; ফাহিম ৩/২৯)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: তিলক ভার্মা
টুর্নামেন্ট সেরা: অভিষেক শর্মা