পাঁচ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের পরিকল্পনাও করছে দলটি।
জামায়াত ইতোমধ্যে ২৯৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে সমঝোতা হলে মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে কার্পণ্য করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
সিনিয়র নায়েবে আমির মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সমঝোতা করবো কি করবো না, সেটা পরিবেশ-পরিস্থিতিই বলে দেবে। তবে জোট হলে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।”
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে সাতটি দলের সঙ্গে যৌথভাবে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। এর ধারাবাহিকতায় বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের সীমানা জটিলতার কারণে দুটি আসনে এবং কৌশলগত কারণে আরও তিনটি আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। বাকিগুলোতে মাঠপর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীরা কাজ শুরু করেছেন।