বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সীমান্তের ওপাড় ভারত থেকে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয়দাতা ভারত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আমরা জোরালো সমর্থন জানাই।’
ভারতের দ্বিমুখী নীতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস
এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ভারতের দ্বিমুখী নীতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল হাস্যরস। ২০২৪ সালের পুরো জুলাই মাস জুড়ে গণহত্যা চালিয়েও ছাত-জনতার গণ আন্দোলন দমাতে না পেরে খুনী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছিল। সেসময় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ তো দূরের কথা উল্টো অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে সাধুবাদ জানিয়েছিল। তখন জামায়াত নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল কিনা তা নিয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি, উদ্বেগও প্রকাশ করেনি।
ভারত এখন বলছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। অথচ এই ভারতেরই অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১ যুগেরও বেশি সময় পর্যন্ত অকার্যকর করে রেখেছিল।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ভারতের এহেন দ্বিমুখী নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে নিন্দার ঝড়।
আবরার আয়াজ লিখেছেন- ভারত যেহেতু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মানে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে।
আনিস ভূঁইয়া লিখেছেন- এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের নাক গলানো উচিত হবে না।
এরশাদুল হক আরমান লিখেছেন- ভারতে মুসলিম নির্যাতিত হওয়ায় আমরা বাংলাদেশীরা অনেক উদ্বিগ্ন।
আল আমিন লিখেছেন- এশিয়ার মধ্যে সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত ভারতের বিজেপি, আর বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ।
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন- মোটেও অস্বাভাবিক বা অবাক হওয়ার কিছু নাই। ভারত এ বিষয়ে বিবৃতি না দিলে আরোও অস্বাভাবিক মনে হতো।