প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই বলেননি বলে স্পষ্ট করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, “যিনি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন, সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কখনোই বলেননি যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের স্ট্যাটাস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো ইঙ্গিত দেননি। অনুবাদে যদি বক্তব্য আংশিকভাবে বা প্রেক্ষাপট ছাড়া নেওয়া হয়, তবে ভুল অর্থ প্রকাশ পেতে পারে। বাস্তবিকভাবে দেখা গেলে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে এবং তা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, পিআইবির বাংলা ফ্যাক্ট চেকও বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে। তিনি বলেন, “নিষেধাজ্ঞা যেখানে আছে, সেখানে থাকবে। সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।”
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনও সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ফলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এটি স্পষ্ট এবং পরিষ্কার।
তিনি আরও বলেন, অনুবাদকারীরা অনেক সময় বাক্যের আগের প্রসঙ্গ উপেক্ষা করেন। একটি বাক্য প্রেক্ষাপট ছাড়া উপস্থাপন করলে ভুল বার্তা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে যা প্রচারিত হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমরা আশা করি, জুলাইয়ের সংশ্লিষ্ট সনদ দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করবে। গ্রামগঞ্জে গেলে দেখা যায়, নির্বাচনী উৎসাহ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বড় বড় ব্যানার ঝুলছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রচারণায় ব্যস্ত। এটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে নির্বাচনের উত্তেজনা দিন দিন আরও বাড়ছে।”







