রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে জিয়া পরিবারের সম্পর্ক আত্মিক।
তিনি জানান, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর প্রতি পরিবারের আত্মিক সম্পর্কের কারণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর খালেদা জিয়া মানসিকভাবে শক্তিও অনুভব করেছিলেন বলে তারেক রহমান উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে অবসরপ্রাপ্ত যোগ্য সামরিক কর্মকর্তাদের দেশের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি দেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশ পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সামরিক বাহিনীর ১০১ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং পরিচালনা করেন মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর। এছাড়া বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও বক্তব্য দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান, মেজর (অব.) রেজা করিম, মেজর (অব.) সামসুজ্জোহা, মেজর (অব.) জামাল হায়দার, মেজর (অব.) আজিজুল হক, কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুজ্জোহা, এয়ার কমোডর (অব.) শফিক আহমেদ, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোস্তাফিজসহ আরও অনেকে।







