বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পাবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
রোববার (১ জুন) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যদের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয় আদালতে। রিটটি করেন তরীকত ফেডারেশনের সে সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
সবশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দুমাস পর জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল আবেদন পুনরুজ্জীবিত করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ।