ইরানের পার্লামেন্টের তেহরানের প্রতিনিধি হামিদ রাসাই সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অন্যতম ক্ষমতা হলো যুদ্ধ এবং শান্তি ঘোষণা করা।’
এরপর তিনি উপসংহারে পৌঁছান যে ‘এটি মেনে নেওয়া সামরিক কমান্ডারদের ওপর নির্ভর করে না।
রাসাই আরো বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরান যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে এবং কিছু মানুষ তা বিশ্বাসও করেছে।’
তেহরানের প্রতিনিধি এই বলে শেষ করেন, ‘সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আরও ঘোষণা করেছেন- ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের পক্ষে নয়, চাপিয়ে দেওয়া শান্তির পক্ষেও নয়।’
এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ তথ্য জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
তিনি আরও জানান, প্রথম ১২ ঘণ্টা ইরান যুদ্ধবিরতি পালন করবে এবং পরবর্তী ১২ ঘণ্টা তা অনুসরণ করবে ইসরাইল।
২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে এই ১২ দিনের যুদ্ধকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সমাপ্ত’ ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
তিনি এই সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলে আখ্যা দেন এবং লেখেন, ‘এটি এমন একটি যুদ্ধ যা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত, কিন্তু তা হয়নি—আর কখনো হবে না।’
যদিও ট্রাম্পের ঘোষণায় উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তবে এখনও পর্যন্ত ইসরাইল বা ইরান, কোনো পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।