জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আগামী দিনে বিশ্বের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এটি আগামী বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পৃথিবীর যেখানেই কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠতে চাইবে, তাকে আগে বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন – মতিঝিল জোনের (ঢাকা -৮ আসন) উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শহিদ পরিবার ও আহত পঙ্গুদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যা করতে পারেনি, জামায়াতে ইসলামী তা করেছে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, শহিদ পরিবার ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের পুনর্বাসন, জুলাই সনদ, রাষ্ট্রের সংস্কার, গণহত্যার বিচার। কিন্তু সরকার কেবল জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করেই দায়িত্ব শেষ মনে করেছে। জুলাই ফাউন্ডেশনের সুফল জুলাই যোদ্ধারা পায়নি। জুলাই যোদ্ধাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ১ বছরের কেউ সেই ভাতা পায়নি। অথচ ৫ আগস্ট পরবর্তী জামায়াতে ইসলামী সকল শহিদ পরিবারকে আর্থিক ২ লাখ টাকা করে উপহার প্রদান করেছে। যাতে করে পরিবারগুলো নিজেরা চলতে পারে। পিজি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী গ্রহণ করেছিল। জুলাইয়ের শহিদ নিয়ে ১০ খণ্ডে ১৫শ পৃষ্ঠার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। যাতে করে কেউ জুলাইয়ের ইতিহাস মুছে দিতে না পারে কিংবা বিকৃত করতে না পারে। আগামীতে আহতদের নিয়ে বই প্রকাশ করবে জামায়াতে ইসলামী। অথচ এসব দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের ও সরকারের।
তিনি বিলেন, উপস্থিত জুলাই যোদ্ধাদের ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে জাতীয় স্বার্থে ৭ দফা আদায়ে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।
মহানগরীর নায়েবে আমির ঢাকা – ৮ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মাওলানা শরীফুল ইসলাম, শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবীব, শাহবাগ পশ্চিম থানা আমির অ্যাডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক, মতিঝিল পূর্ব থানা আমির মো. নুর উদ্দিন, শহিদ হৃদয়ের মা, শহিদ লিটনের ছোট বোন, শহিদ আল-আমীনের মা, শহিদ কামাল মিয়ার মেয়ে সুরাইয়া, আহত জুলাই যোদ্ধা আবু বক্কর, আহত জুলাই যোদ্ধা হারুন, আহত জুলাই যোদ্ধা হেলাল মিয়া, আহত জুলাই যোদ্ধা রফিকুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।