ঢাকায় আগামী ৩০ আগস্ট আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলেনি। তার এই সফরের মধ্যে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে ইউরোপের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর হবে। সফরের পরদিন ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা—এই চারটি বিষয়ে গুরুত্ব পাবে। বৈঠকের পর একান্ত আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে সেদিনই ঢাকা ছাড়তে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসন রোধ করে নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, এবং ইতালির পক্ষে সই করেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি।
চুক্তি অনুযায়ী, ইতালি ‘সিজনাল’ ও ‘নন-সিজনাল’—দুই ধরনের কর্মী নেবে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় বৈধ উপায়ে শ্রমিক আসাকে উৎসাহিত করি। এই সমঝোতার মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্যও রপ্তানি করে বাংলাদেশ।