গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি হলে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। এ কমিটিগুলোতে ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। পরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা থাকায় ওইদিনই ছয়জনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কমিটি ঘোষণার এরপর ওইদিন মধ্যরাতে হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের এই বিক্ষোভের মুখে আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হলগুলোতে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কোনো ধরনের রাজনীতি করা যাবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করেনি শাখা ছাত্রদলের নেতারা। শুধু তাই নয়, হলে সিট দেওয়ারও বিষয়েও আলাপ-আলোচনা করছেন ছাত্রদলের নেতারা। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ একটি গ্রুপে (মেসেঞ্জার) শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরার তার অনুসারীদের বলতে দেখা গেছে, যারা এখনো সিট পাননি, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এমনকি এই অভিযোগ তিনি স্বীকারও করেছেন ওই নেতা।
মো. জুনায়েদ আবরার বলেন, আমাদের ৪৮ সদস্যের কমিটিতে অনেকেই হলে সিট পাননি। তারা হলের বাহিরে থাকছেন। মেসে থেকে রাজনীতি করেছেন। তাই তাদের হলের সিটের ব্যাপারে প্রভোস্ট স্যারের কাছে সুপারিশ করা যায় কিনা এমন চিন্তা-ভাবনা চলছে।
তবে তিনি এও বলেন, ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পর এখনও প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারিনি। তাই এই সুপারিশের কথাটি আসেই না এখনও। তাছাড়া জেনেছি, হলে পর্যাপ্ত সিটও খালি নেই। তাই হল প্রশাসন চাইলে সিট দিতে পারে না।
জানা গেছে, এই হলের ৪৮ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ ও সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কেউ কোন অভিযোগ করেনি। বিষয়টি প্রথম আমি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তবে এসব কথা (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) লিখেও লাভ হবে না। কারণ আমরা ইতিমধ্যে নতুন করে সিট বণ্টন সম্পন্ন করে ফেলেছি।