প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) টানা দুই যুগ ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছে। গত ১৪ আগস্ট দলটি ক্ষমতায় আসার ২৪তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। আধুনিক তুরস্কের শতবর্ষের ইতিহাসে এর আগে কোনো রাজনৈতিক দল এত দীর্ঘ সময় টানা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।
একেপির এ সাফল্যের মূল কৃতিত্ব এরদোয়ানের ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব। ২০০১ সালে দল গঠনের সময় তিনি বলেছিলেন—“তুরস্কের রাজনীতি আর আগের মতো থাকবে না।” এর পর থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন, শাসন ব্যবস্থার সংস্কার এবং জনসংযোগ কৌশলে ভর করে একেপি দ্রুত দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। প্রথম থেকেই ভোটারদের কাছে পৌঁছানো, নারী কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা এবং মধ্যপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দলটির জনপ্রিয়তা বাড়ায়।
২০০২ সালের নির্বাচনে এককভাবে সরকার গঠনের পর একেপি ধারাবাহিকভাবে ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়। এরদোয়ান ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টশাসিত ব্যবস্থা চালু হলে তিনি সরাসরি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
বর্তমানে দলটির রাজনৈতিক পরিচয় ও দর্শন সুসংহত হয়েছে। “সেঞ্চুরি অব দ্য টার্কি” ভিশন সামনে রেখে একেপি আগামী ২০২৮ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এরদোয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন না। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে—এরদোয়ানবিহীন একেপি কতটা টিকে থাকতে পারবে এবং তুরস্কের রাজনীতিতে দলটির ভবিষ্যত কি হবে?