ফেসবুকে ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল নামের পেজ খুলে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার চালানো বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে ডাকসুতে ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদলের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার (২২ আগষ্ট) ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণার পরপরই এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। জানা গেছে, ‘ডিপার্টমেন্ট অব বাকশাল, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’ নামের এ পেজ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, এনসিপির মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
মায়েদের চালানো এ পেজ নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকটা গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমন অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছাত্রদলের প্যানেলে এজিএস পদে রাখায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, এমন একজন অপপ্রচারকারী ব্যক্তিকে ছাত্রদলের প্যানেলে শীর্ষ পদে কিভাবে রাখলো তা বুঝতে পারছি না। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের পালস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। যিনি ফেক পেজ খুলে হিংসার বাণী ছড়ান, তিনি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে পারবেন বলে মনে হয় না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্রদের নিজেদের প্যানেলকে বিতর্কিত করেছে। আমরা ছাত্রদলের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা তানভীর আল হাদি মায়েদ অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, এ পেইজের সঙ্গে আমি কখনও কাজ করিনি, এমনকি আমি কোন পেজ বা আইডি চালাই না। মামলা-জিডি করে এ সমস্যার সমাধান হবে না আমি জানি। এমনটা হতে পারে যে, আমার নামে একটি আইডি খুলে এডমিন করে আইডিটা ডিএক্টিভেটেড (নিষ্ক্রিয়) করে রাখা হইছে। সার্চ করে আমার নামে একটি আইডিই পাওয়া যায়