শরীয়তপুরের জাজিরায় মসজিদের ভোরের আজান ও বয়ানকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে খবির সরদার (৫৫) নামে এক মুসল্লি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে বড়কান্দি ইউনিয়নের উমরদি মাদবর কান্দি গ্রামে। নিহত খবির সরদার ওই এলাকার মৃত ইউনূস সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে আলমাস সরদার অভিযোগ করেন, ভোরে আজান ও বয়ান দেওয়ায় তার ঘুম ভেঙে যায়। এ নিয়ে তিনি মসজিদের ইমামকে হুমকি দেন। বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার পর মসজিদ কমিটি প্রতিবাদ জানায় এবং জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে। এরপর থেকেই আলমাস সরদার ক্ষোভে ফুঁসছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে আলমাস সরদার নিজ দলবল নিয়ে বের হন। পথে মসজিদ কমিটির সদস্য খবির সরদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বুকে ছুরিকাঘাত করেন এবং সড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন, অভিযোগে বলা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রামের প্রবীণ আব্দুল কুদ্দুস মাদবর বলেন, খবির সরদার শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন এবং মসজিদের সব কাজে এগিয়ে আসতেন। আজান ও বয়ানের মতো ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড গ্রামবাসীর জন্য লজ্জাজনক।
মসজিদ কমিটির সভাপতি দানেশ সরদার জানান, আজানের শব্দ নিয়ে আলমাস সরদারের আপত্তি ছিল। জিডি করার পর থেকেই সে বিরোধিতায় লিপ্ত হয় এবং খবির সরদারকে হত্যা করে তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় মূল্যবোধ নেই, তা প্রমাণ করেছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, একজন মুসল্লির হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।