হার দিয়ে আসর শুরু করলেও পরের তিন ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকদের। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ফের ছন্দ পতন। উড়তে থাকা দলটা খেয়েছে বড় ধাক্কা।
সোমবার (৫ মে) কলম্বোয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে লঙ্কান যুবাদের কাছে ২৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দল। কলম্বোয় আগে ব্যাট করে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৯ রানে।
৬ ম্যাচ সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আজ পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। জিতলেই নিশ্চিত হতো সিরিজ। বল হাতে সেই পথে অনেকটা এগিয়েও যায়। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাড়ল অপেক্ষা।
টস জিতে ব্যাটিং নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৫ রান যোগ করে লঙ্কানরা। এরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শুরু হয় তাদের। ১১৩ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
যেখানে বলার মতো রান কেবল সুহাস ফার্নান্দোর ও চামিকা হিনাতিগালার। দু’জনেই করেন সমান ২৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে আধাম হিলমিকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা। ৪২ রান করেন তিনি।
তার বিদায়ের পর আবারো ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ১৩ রানের মাঝেই আরো ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ১৬৪ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর ১৯৬ রান পর্যন্ত দলকে টানেন হিলমির।
এক প্রান্তে ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ৫৯ বলে ৫১ রান করে আউট হন হিলমি। বাংলাদেশের হয়ে সামিউল তিনটি ও দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন সাদ, রিজান ও ফারহান।
রান তারায় নেমে মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জাওয়াদ আবরার ৭ রানেই থামেন। আরেক ওপেনার কলিম সিদ্দিকি করেন ১ রান। হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক আজিজুল (৪)।
গত ম্যাচে ফিফটির দেখা পাওয়া রিজান হোসেন চতুর্থ উইকেটে আব্দুল্লাহকে নিয়ে ৩৪ রান যোগ করেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজান। ৫০ বলে ২৫ রানে থামতে হয় তাকে। এরপর আব্দুল্লাহ ও দেবাশিষ জুটি গড়েন।
জুটি ভাঙে ৩২ রান করে আব্দুল্লাহ আউট হলে। আর ২৪ রান করে দেবা থামেন দলীয় ১০৫ রানে। পরবর্তী সময়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাতে থাকেন সামিউন ও ফরিদ। এই জুটি ভাঙতেই শেষ হয় জয়ের স্বপ্ন।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলা সামিউনকে ফেরান কাভিজা গ্যামেগে। এরপর দ্রুত ফেরেন ফারহান শাহরিয়ার, ইকবাল হোসেন ইমন ও সাদ ইসলাম। ফরিদ ৫২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
তাতে ১৬৯ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ২৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন মাথুলান চামুদিথা। দু’টি উইকেট পেয়েছেন নাভোদিয়া।