অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ যাতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়, সে জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পূর্ণ সমর্থন জরুরি।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. ন্গোজি অকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অতীতে অনেক দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্য সুবিধা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যেন একই সমস্যার মুখে না পড়ে, সে জন্য ডব্লিউটিওকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে আসন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অর্থবহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বানও জানান তিনি।
ড. অকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। আমি আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছি।”
২০২৬ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বহুল আলোচিত ডব্লিউটিও সংস্কার, বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ এবং সংরক্ষণবাদ ও বিশ্বায়ন থেকে পশ্চাদপসরণের আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয়।
ড. অকোনজো-ইওয়েলা জানান, আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনো স্থিতিশীল এবং এর প্রায় ৭৫ শতাংশ ডব্লিউটিওর নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূসও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্যে নেতৃত্ব দিতে হলে ডব্লিউটিওকে আরও সক্রিয় হতে হবে। তিনি যোগ করেন, “এখন সময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার।” বাংলাদেশ অর্থবহ পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।