গতকাল চট্টগ্রামে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হয় বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে। কিন্তু আজ (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বিএনপি দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তি ও হামলাকারীদের কেউই বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “কিছু গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” দলটি আরও দাবি করে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি বা তাদের কোনো সংগঠনের সম্পর্ক নেই।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। নিহত আব্দুল হাকিমের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং নিয়মিতভাবে দলের কর্মসূচি প্রচার করতেন। তাঁর প্রোফাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক ছবি পাওয়া গেছে, যা তাঁর দলীয় সম্পৃক্ততা স্পষ্ট করে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি নেতাদের এই দায় এড়ানোর কৌশল তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ঢাকতেই নেওয়া হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা একের পর এক সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাউজান উপজেলায় প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে হত্যা করা হয়, যিনি স্থানীয়ভাবে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতি দিয়ে বলেন, “এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তি বিএনপির কেউ নন।” তবে এই দাবি স্থানীয় ও অনলাইন সূত্রের প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “যার ফেসবুক ভরা বিএনপির পোস্ট ও ছবিতে, তাঁকে দল চিনবে না—এ কি সম্ভব?”