দীর্ঘ দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠক। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করাই এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশ পাকিস্তানি বাজারে নিজেদের পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দাবি করে, আর পাকিস্তান জানায়—বাংলাদেশ করাচি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কৃষি গবেষণা, হালাল ফুড, তথ্যপ্রযুক্তি ও নৌপরিবহনসহ একাধিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, পাকিস্তান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০টি নতুন বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব করেছে এবং বাংলাদেশে তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ব্যাংকনোট, প্রাইজবন্ড ও নিরাপত্তা সামগ্রী মুদ্রণে ব্যবহৃত নিরাপত্তা কালি সরবরাহের আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিতে এবং ব্যাংক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে চায় পাকিস্তান।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, জেইসির নবম বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের পক্ষের নেতৃত্ব দেন দেশটির ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী আহাদ খান চীমা। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোট ১৬ জন সদস্য।
