নির্বাচনের আগে প্রস্তাবিত গণভোট আয়োজনকে সময়, অর্থ ও নির্বাচনের প্রস্তুতির দিক থেকে “অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটের দিন ছাড়া অন্য কোনো দিনে গণভোটের আয়োজন হলে বিএনপি তা কখনোই মেনে নেবে না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত দফাগুলোর ওপর গণভোটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর বিপরীতে জুলাই সনদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। তার দাবি, কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ একপেশে এবং জবরদস্তিমূলকভাবে জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ এক বছর ধরে সংস্কার ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে আলোচনা হয়েছে, তা যদি এভাবে একতরফা সিদ্ধান্তে শেষ হয়, তবে এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণা ও প্রহসনের শামিল।”
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান সরকারের নেই। কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার ও মতামত আমলে নেয়নি।
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার শেষ না হলে গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে—এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার ভাষায়, “জাতীয় সংসদে অনুমোদনের পর যেকোনো বিল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পাওয়ার পরই কেবল আইনে পরিণত হয়; স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। এমনটি হলে তা সংসদীয় সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক রীতির পরিপন্থি হবে।”
