বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র নির্মাণের মাধ্যমেই নারীর অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলে ক্ষমতায় ছিল, কেন সেই সময়ে নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, কেন নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হয়নি এবং কেন নারীরা ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। অতীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, তারা নিজেদের ব্যক্তিগত মতবাদে দেশ পরিচালনা করেছেন। পরিবারতন্ত্রভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয় না। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাজে আল্লাহর বিধান কার্যকর করা প্রয়োজন। ইসলাম ছাড়া কোনো ধর্মই নারীর অধিকার, মর্যাদা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। ইসলামী জ্ঞান অর্জন করলে এটির বাস্তব রূপ ও গুরুত্ব বোঝা যাবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানার (মহিলা বিভাগ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দল নারীর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। ইসলাম নারীর যে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও অধিকার দেয়, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে তা পূর্ণভাবে নিশ্চিত করবে।
ড. হেলাল উদ্দিন উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম, মতবাদ বা আইন নারীদের যথাযথ অধিকার দেয়নি। ইসলামী সমাজ গঠনের মাধ্যমে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রে নারীদের ঘরে বন্দি রাখার বা জোর করে ধর্ম পালনের কোনো বিধান নেই। মহান আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে নির্দেশ দিয়েছেন কেবল উপদেশ দেওয়ার জন্য; মানুষ নিজ ইচ্ছায় ধর্ম পালন করবে। সুতরাং ইসলামী রাষ্ট্রও কাউকে জোর করে ধর্ম পালনে বাধ্য করবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যারা রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য কুরআনের শিক্ষা বন্ধ করে নারীদের ঘরে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়, তারা ক্ষমতায় গেলে নারী সমাজের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাবে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই ওই দলের নেতাকর্মীরা নারীদের ওপর হামলা, ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করছে, অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ক্ষমতায় এলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে দেশবাসীকে জিম্মি করবে।
মতবিনিময় সভায় পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
