ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোট দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুইজন, যার মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন।
রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিন মিয়া মারা যান। এর আগে সকালে একই হাসপাতালে মারা যান শিপন মিয়া। নিহত ইয়াছিনের বাড়ি আলমনগর গ্রামে, আর শিপনের বাড়ি নুরজাহানপুর গ্রামে। আহত দুজন হলেন থোল্লাকান্দি গ্রামের শিক্ষক এমরান হোসেন (৩৮) ও চরলাপাং গ্রামের হোটেল কর্মচারী নুর আলম (১৮)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ও তার ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও আরাফাত মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে গণি শাহ মাজার এলাকার একটি হোটেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন শিপন। এসময় আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপন, হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। পরে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
শিপনের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মোন্নাফ মিয়ার অনুসারীরা তালতলায় শিক্ষক এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে গুলি চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এমরানও গুলিবিদ্ধ হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক জানান, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দফায় গুলি চালানোর ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পুলিশ টহল জোরদার করেছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
