খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কুয়েট রোড এলাকার যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদুল হক (৪৫) স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) এবং মিজানুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মামুন শেখ রাতে কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মীকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলে করে এসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কার্যালয় লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক ইমদাদুল হককে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ মামুন শেখ ও মিজানুর রহমান হাসপাতালের চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর খান জাহান আলী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকায় টহল জোরদার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত বোমার খণ্ডাংশ ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
খান জাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের বোমা ও গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। হামলাকারীদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
