জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) ছাত্রী হলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পুরুষ সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ায় ক্যাম্পাসে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি সাংগঠনিক নোটিশ প্রকাশ করেন। এতে ছাত্র ও ছাত্রী হলের সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকির জন্য কয়েকজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়।
নোটিশ অনুযায়ী, ছাত্র হলের দায়িত্বে আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হামজা, সদস্য মোহাম্মদ আমানউল্লাহ ও রবিউল ইসলাম রিমন। তবে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে ছাত্রী হলের কমিটি, যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, সদস্য সাদ ইবনে ওয়াহিদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আদিবা হক মিলাকে— অর্থাৎ তিন সদস্যের মধ্যে দুজনই পুরুষ।
এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ছাত্রী হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পুরুষদের সম্পৃক্ততা কতটা যৌক্তিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, “আমরা হলে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চাই না। ছাত্রী হলের দায়িত্বে ছেলেদের রাখা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এমন সাংগঠনিক ঘোষণা প্রশাসনের পূর্বঘোষণা ও নীতিমালার পরিপন্থি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়— ক্যাম্পাস এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, প্রচার বা সংগঠন পরিচালনা নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, লোগো ও প্রতীক রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।







