২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমেই টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। এর পর থেকে বন্যা, সীমান্তে গুলিবর্ষণ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ, ভিসা দেওয়া বন্ধ ও পরে সীমিত আকারে পুনরায় চালু করা— এসব বিষয় দুই দেশের সম্পর্কে অস্বস্তির আবহ তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে। একই সঙ্গে আসামের ধুবরি জেলাতেও তারা একটি নতুন সেনা স্টেশন স্থাপন করেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকান ক্রনিকল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নবনির্মিত ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি। পরে ভারতের ইস্টার্ন কমান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি চোপড়া ডিফেন্স ল্যান্ডে ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসে মোতায়েন সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখার পাশাপাশি সব ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি আসাম সীমান্তের ৪ (গজরাজ) কর্পস সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁও এলাকায় ‘লাচিত বরফুকন’ সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, “নতুন এই সামরিক স্টেশন অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে— যা পুনর্জাগ্রত আসামের গৌরবময় ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।”
