গোয়েন্দা সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা অনুযায়ী, আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ব্যাপক সহিংসতার আয়োজনের পরিকল্পনা থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই তথ্যে কুমিল্লা জেলার কিছু স্থানের ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার–বিশ্বরোড, আলেখারচর ও চান্দিনার মতো স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এগুলোতে সমন্বিতভাবে মিছিল ও সংঘর্ষ সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে বলে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিছু চ্যানেলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যও উঠেছে, যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের (বিজিবি) এক শীর্ষ্ত কর্মকর্তা সাম্প্রতিক অভিযানে মাদকের সঙ্গে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে; তবে বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলি জোরালোভাবে তদন্ত করছে।
প্রতিবেদনটি আরও উল্লেখ করে, গত সময়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকবার ঝটিকা মিছিল সংগঠিত হয়েছে—যার সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের নাম যোগ করা হয়েছে। স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লার কিছু জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবরকে উদ্ধৃত করে সংবাদটিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা অঞ্চলে কিছু ব্যক্তিগত অংশ গুটবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং তাঁদের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ ও তত্ত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মন্তব্য পাওয়া যায়নি / পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের জবাব বা পুলিশের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি থাকলে তা এখানে তুলে ধরা হবে।)
স্থানীয় সমাজ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত যে কোনো তথ্যকে ভ্রাম্যমাণ-ভিত্তিকভাবে গ্রহণ না করে তদন্তে প্রমাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তারা বলছেন, গোষ্ঠীগত হামলা বা সহিংসতার যে কোনও পরিকল্পনার তথ্য পেলে তা ন্যূনতম রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করতে হবে।
কুমিল্লার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদার এবং পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা মোটরসড়ক আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল বাড়াতে, চেকপোস্ট স্থাপন ও জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা জারি করতে পারে।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ও জনগণ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন—তারা বলছেন যে, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা দেশ-অর্থনীতির জন্য বিঘ্ন ঘটাবে। স্থানীয়রা আরও দাবি করেছেন, সরকারি ও গোপন সংস্থাগুলি বিষয়টি দ্রুত সুস্পষ্ট করে জানালে বিভ্রান্তি কমে যাবে।
সংক্ষেপে, সোর্স হিসেবে পাওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোতে ১৩ নভেম্বর ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অঘটনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে; তবে এগুলোচূড়ান্ত প্রমাণ নয় এবং যথাযথ তদন্ত ও অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া ছাড়া কোনো পক্ষকে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা উচিত না। পাঠকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোট: এই ধরনের তথ্য সম্পর্কে অফিসিয়াল বিবৃতি বা তদন্ত প্রতিবেদন থাকলেই সংবাদে আপডেট দেওয়া হবে।
