ঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিস্টেমটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ তা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এতে উপকূলীয় দেশের চার বিভাগে ‘অতি ভারী’ বৃষ্টি ও পাঁচ জেলায় ভূমিধসের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে সংস্থাটি।
বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আমার দেশকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিস্টেমটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে এরই মধ্যে দেশের পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, নেত্রকোনা সহ উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ তা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
তিনি বলেন, লঘুচাপটি আজ নিম্নচাপে রূপ নিলে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তবে উপকূলের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও আজ সন্ধ্যা কিংবা রাত থেকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে ঢাকা সিটি ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ি জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে গতকাল সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে পাঁচ জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারী এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতি ভারী বৃষ্টিপাত।