বেপরোয়া কর্মকাণ্ড, অস্বচ্ছ সম্পদ–অর্জন, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং দলীয় ন্যারেটিভ প্রচারের অভিযোগে কালের কণ্ঠ ও এর নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলীসহ প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমালোচনা উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানানো হচ্ছে—৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারায় অন্যান্য গণমাধ্যম কাঠামো বদলালেও কালের কণ্ঠ আরও আক্রমণাত্মক ন্যারেটিভে ঝুঁকে পড়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, পত্রিকাটি আওয়ামী লীগপন্থী অবস্থান বজায় রেখে বিভিন্ন প্রসঙ্গে দলের বক্তব্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং জুলাই আন্দোলনের নায়কদের নিয়ে বিতর্কিত পোস্টার ও কনটেন্ট প্রকাশ করছে। এ ন্যারেটিভ নিয়ন্ত্রণ করছেন নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, যাকে সহায়তা করছেন সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী। সমালোচকদের দাবি, হায়দার আলী পূর্বে শিক্ষকতা ও মিডিয়ায় নিম্নপদে কাজ করলেও বর্তমানে তাঁর আর্থিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। মিরপুরে ফ্ল্যাট, টাঙ্গাইল ও সাভারে জমি, গরুর খামারসহ উল্লেখযোগ্য সম্পদের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে—ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়া, বিদেশে লোক পাঠানোর মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা অর্জন, এবং এসব কাজে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা।

একইভাবে, কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া বিভাগে দায়িত্বরত আশিকুর রহমান শ্রাবণের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ–অর্জন, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। উভয়কেই বসুন্ধরা গ্রুপের অভ্যন্তরে বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
আরেকদিকে, বিএনপি–পন্থী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরীর বিরুদ্ধেও পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দলীয় ন্যারেটিভে পক্ষপাত দেখানো এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে বিতর্কিত অবস্থান গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বিএনপি হাইকমান্ডের ভেতরেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হায়দার আলী, আশিকুর রহমান শ্রাবণ, কাদের গনি চৌধুরী ও রাজিবুল হাসানের বিরুদ্ধে সম্পদ–অর্জন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতি বিকৃত করার অভিযোগে তদন্ত দাবি উঠছে। সমালোচকরা দ্রুত দুদকের অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।







