ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে মারধর ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়ক ভবুকদিয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
হামলার শিকার বৈশাখী ইসলাম বর্ষা নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কলেজ শাখার সংগঠক।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে বৈশাখীর ছোট বোন চৈতিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন শরিফ বেপারী। শরিফের বাবা বিএনপির সমর্থক। বোনকে উত্ত্যক্ত করায় থানায় অভিযোগ করলে শুক্রবার বিকালে এলাকায় পুলিশ যায়। এ সময় শরিফকে পুলিশ আটক করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তখন উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বদিউজ্জামান তারা মোল্যার নেতৃত্বে বৈশাখীকে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বর্ষার বাড়িতে যান। তখন তাদের ওপর চড়াও হন স্থানীয় বিএনপির সমর্থকরা। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে মারধর ও গাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিতরা। এর প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। পরে রাত ১০টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৈশাখী ইসলাম বর্ষা জানান, বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় পুলিশের সামনে তাকে মারধর করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মারধর করার সময় তারা বলে, আমাদের ছাড়া পুলিশের কাছে গেছিস কেন। এলাকায় সমন্বয়গিরি চলবে না।’ পরে এই ছাত্রী ফেসবুকে লাইভে বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপরই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাতেই তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরে রাত ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসিফ ইকবাল বলেন, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্ত শরিফ বেপারীকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান চলছে।