ইসরাইলের সামরিক হামলার পরিণতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ আইএইএর সদর দপ্তরে জরুরি অধিবেশনে বসছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালনা পরিষদ। এই বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছিল ইরান। পরে রাশিয়া, চীন ও ভেনিজুয়েলা এতে সমর্থন দেয়। খবর বিবিসি বাংলার।
শুরুতে ইরান সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে একটি প্রস্তাব পেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ওই প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাবে না। ফলে ইরান একটি সাধারণ বিবৃতি সামনে আনবে, যাতে ইসরাইলের কার্যকলাপের নিন্দা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই জরুরি বৈঠক হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এর মধ্যে ইরানের নাতাঞ্জ ও ফোর্দোতে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরাইল। নন প্রোলিফেরাশন চুক্তির (এনপিটি) অধীনে পারমাণবিক উদ্বেগ মোকাবিলায় সামরিক পদক্ষেপ কখনো গ্রহণযোগ্য উপায় নয়।
ইরান জোর দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহল ও আইএইএর পরিচালনা পরিষদ যেন এই হামলার নিন্দা করে। তবে বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের আনুষ্ঠানিক নিন্দা পাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আইএইএ-এর সাবেক উপ-পরিচালক জেনারেল ফর সেফগার্ডস অলি হেইনোনেন বলেছেন, ইসরাইলের হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থান ঠিক কোথায় তা আমরা পুরোপুরি জানি না। হেইনোনেন মনে করেন, ইসরাইল সম্ভবত
তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।
রেডিও ফোর-এর ‘টুডে’ প্রোগ্রামে তিনি বলেন, নাতাঞ্জ স্থাপনার পুনরুদ্ধারে ‘অন্তত কয়েক বছর সময় লাগবে’। ফোর্দো স্থাপনারও একই অবস্থায়। ইসরাইলের বোমা হামলার পর এটি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে।