বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধন করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। স্থানীয় সময় সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে উদ্বেগের কথা জানান তিনি।
অধিবেশনে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমি অনুপ্রাণিত বোধ করছি যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করছে ।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধন করায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। স্থানীয় সময় সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে উদ্বেগের কথা জানান তিনি।
অধিবেশনে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে ফলকার টুর্ক বলেন, ‘আমি অনুপ্রাণিত বোধ করছি যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন করছে ।’
এসময় অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ অগ্রগতি অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘অবশ্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন আনা এবং এ সংক্রন্ত সব কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এটা অযথা সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করবে।’
এ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের এক বিবৃতিতে ফলকার টুর্কের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ইরান ও ইসরাইলের সংঘাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি ও বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন। এর ফলে ক্যারিবিয়ান দেশগুলো এবং উন্নয়নশীল ছোট দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশের বড় রপ্তানি খাত রয়েছে, সেসব দেশের ওপর এর প্রভাব হতে পারে বিপর্যয়কর।