রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।
শনিবার ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ’শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ।
আলী রিয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ও ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে জুলাই সনদ প্রণয়নে কাজ করছে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুযায়ী সুযোগে সমতা ও অধিকারের সাম্য নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা যাবে।
আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অতীতের মতো এবারকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের স্বপ্নকে কারো স্বার্থে জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে অনেকেই গনিমতের মাল হিসেবে বিবেচনা করে যা খুশি তাই করছেন। বিশ্বজিৎ আর আবরার ফাহাদের হত্যার সঙ্গে ব্যবসায়ী সোহাগের হত্যার পার্থক্য কোথায়? ১৫ বছরের আওয়ামী জাহেলিয়াতের সঙ্গে মানুষ কেন এই সরকারের ১১ মাসের শাসনকে মেলানো চেষ্টা করবে। এটা আমাদের রাজনৈতিক পরাজয়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আবদুন নূরের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন— এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মজিদ আতাহারী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সমন্বয়কারী মাসুদ রানা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আহত জুলাই যোদ্ধা ফায়েজুর রহমান মনির প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতেই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।