জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একের পর এক আহত হয়ে ফরাজী হাসপাতালে ছুটে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, আইডিয়াল স্কুলের বহু ছাত্র ইনজুরড অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছালেও তাৎক্ষণিক সেবা না দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পরে ছাত্র-জনতার চাপে পড়ে সেবা চালু করতে বাধ্য হলেও তা ছিল ধীরগতির ও অনিচ্ছাকৃত।

ঘটনার মূল পটভূমিতে উঠে আসে হাসপাতালের মালিকানায় থাকা ইমন ফরাজীর রাজনৈতিক প্রভাব। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজেকে “স্বাস্থ্যবন্ধু” বলে পরিচয় দিলেও এটি কোন রাষ্ট্রীয় বা পেশাগত উপাধি নয়; বরং নিজস্ব প্রচারণা। ছাত্রজনতার দাবি—ইমন ফরাজীর আওয়ামী লীগ ঘেঁষা অবস্থান এবং ‘বঙ্গবন্ধু হওয়ার খায়েশ’ তাকে রাজনৈতিক প্রভাব রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেছে।

অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটির এমডি ডা. মোতাহার হোসেন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে কথিত রয়েছে, যিনি নেপথ্যে পুরো বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, ইমন ফরাজী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন।
ছাত্রজনতা বলছে—মানবিকতা যেখানে সর্বোচ্চ হওয়া উচিত ছিল, সেখানে দলীয় পক্ষপাত ও রাজনৈতিক খায়েশ প্রাধান্য পেয়েছে। জনগণের দাবী, এসব বাণিজ্যিক স্বাস্থ্যসেবাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো বন্ধ হোক।