“আমার মাসুদের মৃত্যু নিশ্চিত করে তবেই ছেড়েছে তারা”—শহিদ মাসুদের মায়ের এই আর্তনাদ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, ফেনীর মহিপালে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ফেনী কলেজের মেধাবী ছাত্র, দাগনভূঞার সরওয়ার জাহান মাসুদ (২১)।
জানা যায়, আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালীন হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। মাসুদের বুকে দু’টি ও হাতে একটি গুলি লাগে—শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায়। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মাসুদ। মহিপাল সার্কিট হাউজ রোডে পড়ে থাকে তার নিথর দেহ। তবে তখনও তিনি বেঁচে ছিলেন।
তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে যান তাঁর ছোট ভাই মাসুম আল সামীর। কিন্তু পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন। মাসুদের ভাইকে তারা থামিয়ে বলে, “সে তো রাজাকার। রাজাকার মরলে কিছু আসে যায় না।” ভাই কাঁদতে কাঁদতে পায়ে ধরলেও, তারা মাসুদকে হাসপাতালে নিতে দেয়নি। চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে প্রাণ হারান মাসুদ।
এই নির্মমতা আজও তাড়া করে বেড়াচ্ছে তার পরিবার ও সহযোদ্ধাদের। “আমার ছেলেকে বাঁচতে দিলো না ওরা, শুধু জামায়াত করে বলে”—বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাসুদের মা।
ঘটনার এক বছর পার হলেও বিচার তো দূরে থাক, বরং ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বুক ফুলিয়ে।