পটুয়াখালীর বাউফলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ এবং বিএনপির রাজনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ফারুক হাওলাদার (৬০) নামে এক জামায়াতকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা জসিম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে আজ সকাল ১০টার দিকে, উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ গ্রামে। মারধরে গুরুতর আহত ফারুক হাওলাদার বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত ফারুক হাওলাদার জানান, “ঢাকায় জামায়াতের ঐতিহাসিক সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর থেকেই জসিম পঞ্চায়েত আমাকে টার্গেট করে। এরপর ৫ আগস্ট বাউফলে জামায়াতের আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয় এবং আজ আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। আমাকে বলা হয়, জামায়াত করতে হলে আজকের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, না হলে মেরে ফেলা হবে।”
ফারুকের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ মানুষ। ওকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কুকুরের মতো মারা হয়েছে। এখন আমরা পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।”
কালাইয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সহ-সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাসনিম আলম বলেন, “বিএনপির কথিত কিছু নেতা আমাদের সাংগঠনিক ও দাওয়াতি কাজে বাধা দিচ্ছে। নারী কর্মীদের নিয়েও অশ্লীল হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও কালাইয়া ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সভাপতি জসিম পঞ্চায়েত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ফারুক হাওলাদার আগে আওয়ামী লীগ করত। আমি তাকে বিএনপি করার আহ্বান জানাই, কিন্তু সে রাজি না হয়ে জামায়াতে সক্রিয় থাকে। এ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে ঠিকই, তবে আমি তাকে মারধর করিনি।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি, তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”