গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জোর করে সেই বক্তব্য আদায় করেছেন বলে দাবি অপুর স্ত্রী কাজী আনিশার।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
অপুর স্ত্রী বলেন, অপুকে ইশরাকের বাসার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোপীবাগ থেকে অপু স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। গোপীবাগ ইশরাকের বাসা। সে (ইশরাক) অপুকে দিয়ে জোরপূর্বক এ কাজ করিয়েছে। অপুকে সাহায্য করার নামে এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করছি। তারা উপদেষ্টা আসিফ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদের নাম শুনতে চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বুধবারের ভিডিওটা কাটছাট করে প্রকাশ করা হয়েছে। স্টেটমেন্ট নেওয়ার ১৪ দিন পর তা সামাজিকমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। চারদিন রিমান্ডে রেখে অপুকে দিয়ে নাম বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় এনসিপিকে দাবানোর জন্য অপুকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অপুর স্ত্রীর দাবি, ঘটনার দিন অপু ঘটনাস্থলে তো দূরের কথা, ঢাকায়ই ছিলেন না। ছিলেন কিশোরগঞ্জে। ওইদিন মিঠামইনে চলে যান। অপু আগে থেকে আঁচ করতে পেরেছিলেন তাকে এসবের মধ্যে ফাঁসানো হবে।
ওই ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়। সে প্রসঙ্গে অপুর স্ত্রী বলেন, ওটা আসলে অপু ছিলেন না। কিন্তু অপুকে ব্যবহার করে একটা দল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে, কাউকে দাবানোর জন্য।
কোন দল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অপুর স্ত্রী বলেন, এইটা তো সবার কাছে ক্লিয়ার। কোন দল এটা আমি বলতে পারবো না।
সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী অবিলম্বে অপুর মুক্তি দাবি করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপুকে টার্গেট করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় পলাতক গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদাবাজির ঘটনায় এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ।