মতিউর রহমানকে হিরো না হাইজ্যাকার— এই প্রশ্ন নিয়ে পঞ্চাশ বছর আগে চ্যাপ্টার ক্লোজড হওয়া বিতর্ক আবারও সামনে আসছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের এ ধরনের বিতর্কে না জড়িয়ে বর্তমান বাস্তবতায় আরও জরুরি কিছু প্রশ্ন সামনে আনা দরকার।
মাত্র দু’দিন আগে শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরও কেনো বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এখনও পর্যন্ত কোনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেনি—এটাই হওয়া উচিত প্রথম প্রশ্ন। একইসঙ্গে আলোচনায় আসে, বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ভেতরে কাজ করা RAW-এর শ্যাডো অপারেটিভ আব্দুল্লাহ ইবনে আলতাফের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল?
এছাড়া বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত বিমানবাহিনীর কয়েকজন সিনিয়র অফিসার—এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আওয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম ও উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ— তারা আসলে কোন গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন এবং কী উদ্দেশ্যে সে দায়িত্ব পালন করেছিলেন—সেটিও অজানা রয়ে গেছে।
আরও বড় প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের আর অ্যান্ড ডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ইউনিট কেন এখনও পর্যন্ত কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না এবং কেনো নতুন ফাইটার জেট বহরে যুক্ত হচ্ছে না।
কিন্তু বাস্তবতার এই জরুরি প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার পরিবর্তে “হিরো না হাইজ্যাকার” বিতর্কে দুই পক্ষের লড়াই নিয়েই সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে জাতীয় আলাপচারিতা।