ঢাকা সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার রোববার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাম্প্রতিক বাইপাস সার্জারির পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বসুন্ধরায় বাসায় বিশ্রামে আছেন। এ সময় ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. তাহের জানান, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং প্রায় আধাঘণ্টা সৌজন্য আলাপ হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে ফিলিস্তিনে হামাসের ওপর চলমান নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং সোমবার জেদ্দায় মুসলিম পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে শক্ত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সম্মিলিত অবস্থানের ওপর গুরুত্ব দেন।
জামায়াত আমির বৈঠকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি প্রস্তাব করেন, একটি জয়েন্ট বডি গঠন করে সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডা. তাহের বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে নির্বাচনী ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
এর আগে শনিবার পাকিস্তান হাইকমিশনে ইসহাক দারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। সেখানে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ অংশ নেন। বৈঠকটি আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।