পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধান সীমান্ত সুরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবার ফোনালাপে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি এ অঙ্গীকার দেন। খবর: দ্য ডন।
ইরানি দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল মুনির এবং ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মুসাভি অভিন্ন সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রস্তুত রয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, মুসাভি বলেছেন, ইরান সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ক্ষেত্রে যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফোনালাপে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানও সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা সীমান্তকে বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।
মুসাভি পাকিস্তানের তেহরানকে ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে সমর্থন করার ভূয়সী প্রশংসা করেন, আর মুনির ইরানের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফোনালাপটি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসলামাবাদ সফরের কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হয়। চলতি মাসের শুরুতে দুই দেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার ও যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছিল।
পাকিস্তান ও ইরানের প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকা নিষিদ্ধ গোষ্ঠী যেমন জইশ আল-আদল ও বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির সক্রিয়তায় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। দুই দেশ যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।