আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ফেস্টুন ফেলে দেয়া ও প্রার্থীদের ছবি বিকৃতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন ফেস্টুন ফেলে দেয়া হয়েছে এবং নারী প্রার্থীসহ একাধিক প্রার্থীর ছবিকে বিকৃত করা হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাঙ্গনে এমন স্বৈরাচারী আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ছাত্রশিবির নেতারা আরো বলেন, ‘একজন হিজাব পরিহিত নারী শিক্ষার্থীর ছবি বিকৃত করে কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি নারীবিদ্বেষী মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে। আরো উদ্বেগজনক হলো, একটি গোষ্ঠী ও কতিপয় মিডিয়া পরিকল্পিতভাবে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই ঘটনার সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে, যা স্পষ্টত ষড়যন্ত্র।’
তারা অভিযোগ করেন, অতীতেও এই মহল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সহযোগিতা করেছে।
তারা বলেন, ‘খুনি হাসিনার পতন ও ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার বিদায় তারা মেনে নিতে পারেনি। তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে ডাকসু নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
শিবির নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ‘ঢাবির শিক্ষার্থীরা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন লালন করে আসছে। তারা অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র ও অপশক্তির মোকাবিলা করবে এবং যোগ্য প্রার্থীকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিয়ে এর উপযুক্ত জবাব দেবে, ইনশাআল্লাহ।’