চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা এলাকায় দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একাধিক শিক্ষকও।
চোখে পড়ার মতো দৃশ্য ছিল—শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, অথচ ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো উপস্থিতি ছিল না। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীকে দ্রুত ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সময় সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন—“ইন্টেরিম সরকার থাকলেও নিরাপত্তা কোথায়?”
ডাকসু ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী গুরুতর আহত, আহত হয়েছেন একাধিক শিক্ষকও। রাত থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত দফায় দফায় ন্যক্কারজনক হামলা চলছে। কথিত গ্রামবাসীর সাথে মিশে কারা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রোশ মেটানোর উন্মাদনায় মেতে উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আতঙ্ক বিরাজ করছে, আর শিক্ষার্থীরা দ্রুত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।