চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সংলগ্ন জোবরা গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুদিন ধরে চলা সংঘর্ষে শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই শতাধিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চমেকে ৭৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০০ জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন। অধিকাংশের মাথায় আঘাত পাওয়া গেছে।
চবির কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, বাইরে থেকে আসা সন্ত্রাসীরা দা, চাপাতি ও রামদা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, হামলাকারীরা স্থানীয় বাসিন্দা নয়, বরং সংগঠিত বাহিনী। এ সময় অনেককে বাসা থেকে টেনে বের করে মারধর করা হয়, কেউ ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, ভর্তি শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চমেক, পার্কভিউ ও অন্যান্য হাসপাতালে আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই সংঘর্ষ পরিকল্পিত, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা এবং চাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অংশ হতে পারে।