সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উল্টে দিয়ে ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার নায়ক হয়ে উঠলেন এডভোকেট শিশির মনির। বিকেলের ঘটনাটি ছিল একেবারেই টার্নিং পয়েন্ট। হাইকোর্ট ডাকসু স্থগিত করলেও, ঠিক সেই ক্রুশিয়াল মুহূর্তে শিশির মনির হাতে লিখে দৌড়ে গিয়ে চেম্বার জজ কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। শেষ মুহূর্তে যুক্তি তুলে ধরেন, আর তার ফলেই স্থগিতাদেশ উল্টে যায়।
ফলাফল— ডাকসু নির্বাচন বেঁচে গেল ষড়যন্ত্রের হাত থেকে। অন্যথায়, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে টানা ১৫ দিনের জন্য আদালত বন্ধ হয়ে যেত, আর হাতে থাকত মাত্র ৮ দিন—মানে কার্যত নির্বাচন ‘গেম ওভার’ হয়ে যেত।
আইনজীবী শিশির মনিরের এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগ এবং বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপে নির্বাচনের পথ সুগম হলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত না থাকলে ডাকসু নির্বাচন সময়মতো আয়োজন অসম্ভব হয়ে যেত।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—যে আইনজীবী নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করলেন, তার বিরুদ্ধেই কিছু পক্ষ সরব কেন? সমালোচকরা বলছেন, আসলে যাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে, তারাই এই সফল পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।
একটি বিষয় এখন স্পষ্ট—ডাকসু নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, আর সেই কৃতিত্বের বড় অংশটাই এডভোকেট শিশির মনিরের।