জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদ্ধতির সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বৈঠকে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই সনদে সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—পূর্ণাঙ্গ সনদ বা এর অংশ নিয়ে গণভোট আয়োজন, রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন, এবং নির্বাচনের মধ্যে একটি গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
এয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন। সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নেওয়া হবে যে অন্তর্বর্তী সরকার সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।
দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিকল্প পদ্ধতিগুলো মূল্যায়ন করে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়া।
পরবর্তী বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো (যার মধ্যে ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে) বাস্তবায়নের জন্য চারটি প্রধান পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।