বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও ডাকসুর সাবেক জিএস অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সালমান আল আযমী তার ফেসবুক পাতায় “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বেদনাবিধুর কাহিনী ও জাকসু নির্বাচন” শিরোনামে একটি দীর্ঘ লেখা শেয়ার করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ছাত্ররাজনীতির প্রেক্ষাপট নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা
সালমান আল আযমী জানান, ১৯৮৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পরিচয়ের কারণে তাকে নানা বিড়ম্বনা ও তির্যকদৃষ্টির শিকার হতে হয়েছে। যদিও কেউ সরাসরি আঘাত করেনি, তবু সর্বত্র তাকে ‘গোলাম আযমের ছেলে’ পরিচয়ে চিহ্নিত করা হতো। একপর্যায়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তিনি কার্যত ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হন।
পড়াশোনায় বাধা ও বিদেশে যাত্রা
ক্যাম্পাসে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি বিদেশে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ইংল্যান্ডে চেষ্টা ব্যর্থ হলে শেষমেশ ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লিঙ্গুইস্টিকসে ভর্তি হয়ে সেখানেই পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তার ভাষায়, “আল্লাহ যা করেন, তা অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন।”
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে মন্তব্য
তিনি লেখায় উল্লেখ করেন, একসময় যেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বামপন্থীদের ঘাঁটি বলা হতো, সেখানে এবার ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ২৫টির মধ্যে ২০টি পদে জয়লাভ করেছে। এই প্রেক্ষাপটকে তিনি “poetic justice” বা সময়ের ন্যায়বিচার বলে অভিহিত করেন।
ছাত্রশিবিরকে বার্তা
পোস্টের শেষাংশে তিনি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সতর্ক করে দেন—“স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন। এখন তোমাদের উপর যে আমানত অর্পিত হয়েছে, তা রক্ষা করাই তোমাদের ঈমানী দায়িত্ব।”