বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এ বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭০ হাজার এ+ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে। পাশাপাশি তারা বিজ্ঞান মেলা, ফ্রেশারদের নিয়ে ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামসহ নানান সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজন করছে।
অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং তারা প্রশ্ন তুলছে—শিবির এত টাকা কোথায় পেল? কিন্তু নিজেদের কর্মীদের যোগ্যতা বৃদ্ধি বা মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সমালোচকরা বলছেন, ছাত্রদলের অনেক নেতারই ছাত্রত্ব নেই, পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। জেলার সভাপতি-সেক্রেটারি হতে চাওয়া অনেক নেতার বইপড়া বা মেধা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো ইতিহাসও নেই। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলে যোগদানের অনুপ্রেরণা পাচ্ছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রদল যদি আত্মসমালোচনা করে নতুনভাবে নিজেদের সাজাতে না পারে, তবে গত ১৭ বছরের জেল-জুলুম ও দুঃখ-কষ্টের ফলাফল শুধু লজ্জাজনক ব্যর্থতা হিসেবেই থেকে যাবে।