ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ‘তুফানুল আকসা’ অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর অন্তত ১১৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১,০৩৫ জন সেনা, আর বাকিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
সোমবার (৬ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের একটি বড় অংশ রিজার্ভ বাহিনীর সদস্য, নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং সাধারণ সৈন্য—যারা অবসরের বয়স পেরিয়ে বা মেয়াদ বাড়িয়ে দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে, জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ১১৫২ জন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বয়স ২১ বছর, আর ১৪১ জনের বয়স ৪০ বা তার বেশি।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করেছে, এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে গাজা উপত্যকা, লেবানন সীমান্ত ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে একযোগে চলমান সংঘাতে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই তিন ফ্রন্টেই ইসরাইলি বাহিনী ক্রমাগত লড়াইয়ে রয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, চলমান যুদ্ধে দেশজুড়ে ৮০ হাজারের বেশি ইসরাইলি বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ৩০ হাজার মানুষ গুরুতর মানসিক ট্রমায় ভুগছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ভোরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ‘তুফানুল আকসা’ নামে অভিযানে অংশ নেয়। তারা স্থল, নৌ ও আকাশ—সব দিক থেকে ইসরাইলের ওপর একযোগে হামলা চালায় এবং বহু ইসরাইলিকে বন্দি করে নিয়ে যায়। এ অভিযান শুরু হয় আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলিদের বারবার সম্মানহানি, কুদস শহরের ইসলামী পবিত্র স্থাপনাগুলোর অবমাননা এবং অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের প্রতিবাদে।
বর্তমানে গাজা, পশ্চিম তীর ও লেবানন সীমান্তে যুদ্ধ চলমান রয়েছে, যেখানে প্রতিদিনই উভয় পক্ষের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।